প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলে আমাদের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হবে। আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। তা না হলে স্বর্গ থেকেও যদি নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আসেন, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না।'
'মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আয়োজিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মির্জা ফখরুল।'
-সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফখরুল জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে সরকার বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বানভাসি মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষ করে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন সরকারের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়। অবিলম্বে দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য, বস্ত্র, গৃহ নির্মাণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থার জোর দাবি জানানো হয়।
ইডিএফ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবি
'বিএনপির মহাসচিব তার দলের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘‘ইডিএফ’ নাম দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরকারের শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রদানের ফলে প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৪ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। ওই ধরনের প্রায় সবটাই (ফোর্সড লোন অধিকাংশই রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংকের) পর্যবসিত হয়েছে। আইএমএফ এই ধরনের ঋণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অন্তর্ভুক্ত না করতে বলেছে।'
স্বর্গ থেকেও যদি নির্বাচন কমিশনার আনা হয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না: মির্জা ফখরুল
'এই সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার অবয়বে আর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে’ বলে উল্লেখ করেন ফখরুল। তিনি দাবি করেন, ‘সরকার অর্থনীতির সকল নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে, রিজার্ভের সকল বিধি বিধান ভঙ্গ করে শুধুমাত্রা নিজেদের ঘনিষ্ট এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের লাভবান করার জন্য রাষ্ট্রের এই ভয়াবহ ক্ষতি করে চলেছে।'
-বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ইডিএফ’ ঋণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে বিদেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ী, ব্যবসা, স্থাপনা তৈরি করে দেশের অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করছে। সুদূরপ্রসারী প্রভাব সামাজিক অর্থনীতি ও সমগ্র অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ফেলবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন।’
-স্থায়ী কমিটির সভায়, 'এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।'
-সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।